জমজম টেইলার্স

Fashion and Beauty Tailors and Fabrics, Call 01712757670

LightBlog

LATEST POSTS

Tuesday 20 February 2018

01:10
পোশাক মানুষকে সাজায় আর পোশাক তৈরী করে দর্জি অর্থাৎ টেইলার্স শপ। পোশাকের মধ্যেই ফুটে ওঠে ব্যক্তির অভিরুচি ও ব্যক্তিত্ব। পরিপাটি ও সুন্দর পোশাক মনকে প্রফুল্ল রাখতে বিশেষ পারঙ্গম।

মার্কেট থেকে রেডিমেড পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে নানা ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন – রং, ডিজাইন, সাইজ প্রভৃতি ক্ষেত্রে নানা হেরফের হয়। যা যথেষ্ট বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। তাই নিজস্ব রং, ডিজাইন ও সাইজের পোশাক তৈরীর কথা ভাবলেই আমাদের টেইলার্সের ধরনা দিতে হয়। আর টেইলার্স সপগুলো তাদের রুচিশীল আধুনিক সৃজনশীল শক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট বিশেষ স্থান অর্জন করে নিয়েছে।

Monday 19 February 2018

11:04
গজ কাপড় কিনে নিজে ডিজাইন করে জামা বানানোর শখ আমাদের সবারই কম বেশি আছে। আবার সিঙ্গেল কামিজ বা কুর্তার সাথে ওড়না বা স্কার্ফের রং নিয়ে একটু মাথা ঘামাতেই হয়। ঘুরে ফিরে একই রঙের কম্বিনেশন দেখা যায় আমাদের পোষাকে। আসুন জেনে নিই কোন রঙের সাথে কোন রং ম্যাচ করে।
সাদা- যেকোনো হালকা বা গাঢ় রঙের সাথেই এই রং বেশ মিলে যায়। সবচেয়ে ভালো কম্বিনেশন হলো নীল, কালো ও লাল।
বেইজ রং- নীল, বাদামি, এমারেল্ড সবুজ, কালো, লাল ও সাদা।
ধূসর/ গ্রে- এই রঙটি যেকোনো মুডি রঙের সাথে মিলে যেমন- ফুশিয়া, লাল, পার্পল, গোলাপি, নীল।
গোলাপি- গ্রে, সাদা, মিন্ট গ্রীন, জলপাই রং, টারকয়েজ, হালকা নীল।
ফুশিয়া (গাঢ় গোলাপি)- ধূসর, হলদে বাদামি, লাইম গ্রীন, মিন্ট গ্রীন, বাদামি।
লাল- হলুদ, সাদা, বাদামি, সবুজ, নীল ও কালো।
টোম্যাটো রেড- নীল, মিন্ট সবুজ, বিস্কিট রং (স্যান্ড কালার), ক্রিম-সাদা, ধূসর।
চেরি রেড- সাদা, কালো, হালকা গোলাপি।
বাদামি- উজ্জ্বল নীল, ক্রিম, গোলাপি, হলুদ, সবুজ, বেইজ।
হালকা বাদামি- হালকা হলুদ

Friday 16 February 2018

19:33
জরুরী ফোন   999
আপনি কোন ধরনের সেবার খোঁজ করছেন ?


খোঁজ করুন
নানা ধরণের পোশাক কিভাবে তৈরি করতে হবে no attachments
যেকোনো পোশাক দোকানদার নিজে বা দোকানে নিযুক্ত কয়েকজন একসাথে তৈরি করে থাকে। আজকাল শহরের মত গ্রামেও বিশেষত জেলা শহরগুলোতে প্রচুর দর্জির দোকান দেখা যায়। এসব দোকানে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও কাজ করে থাকে। বর্তমানে একে অনেকেই ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে বাড়তি আয় করছে। নানা ধরনের পোশাক তৈরি করে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। আবার পোশাক তৈরির কারখানাতে কাজ করে বা শুধু একটি সেলাই মেশিন কিনে অর্ডার হিসেবে কাজ করেও আয় করা যায়। সাধারণভাবে পোশাক বলতে সেইসব কাপড়কে বুঝায় যা আমরা পরিধান করে থাকি। আমরা মূলত যেসব পোশাক পরি তার বেশিরভাগই হাত দিয়ে বা সেলাই মেশিন দিয়ে সেলাই করা হয়। যেকোনো পোশাকই সুন্দর দেখায় যদি তাতে সুন্দর সুন্দর নকশা থাকে। মহিলা ও পুরুষের পোশাকের ধরণ বুঝে দেহের মাপ নিয়ে পছন্দমত ডিজাইন অনুযায়ী পোশাক তৈরি করা হয়। কিভাবে নানা ধরনের পোশাক যেমন- সালোয়ার কামিজ, শার্ট ইত্যাদি তৈরি করতে হয় সেই বিষয়ে জানা প্রয়োজন।                                                      
13:37
যে কোন বয়সের মহিলারাই এখন কামিজ ব্যবহার করে থাকে। আজকাল দেখা যায় ছোট ছোট বাচ্চারাও এই পোশাক ব্যবহার করে। সুতি, সিল্ক, জর্জেট ইত্যাদি যেকোনো ধরনের কাপড় দিয়ে কামিজ বানানো যায় যার সাথে সালোয়ার বলে আরেকটি পোশাকও পরতে হয়। প্রথমে কামিজ ও তারপর সালোয়ার কিভাবে তৈরি করতে হবে তা আলোচনা করা হবে। প্রথমে জানা যাক ১৫-২০ বছর বয়সের একটি মেয়ে পরবে এরকম দুই হাত, আড়াই হাত বা তিন হাত বহরের একটি কামিজের মাপ কি হবে, কিভাবে তা কাটতে হবে এবং কিভাবে কাটা কাপড়টি সেলাই করতে হবে। প্রথমে বলা যাক ১৫-২০ বছর বয়সী মেয়ের কামিজের আনুমানিক সাইজ কেমন হবে। এক্ষেত্রে-

কামিজের ঝুলের মাপ হবে ৪৮ ইঞ্চি
কামিজের বুকের মাপ হবে ৩৬ ইঞ্চি
কামিজের কাঁধের মাপ হবে ১৬ ইঞ্চি
কামিজের নিচের ঘেরের মাপ হবে ৪২ ইঞ্চি
কামিজের গলার লম্বার মাপ হবে ৫ ইঞ্চি
কামিজের গলার চওড়ার মাপ হবে ২১/২ ইঞ্চি
কামিজের কোমরের মাপ হবে ৩০ ইঞ্চি
কামিজের হাতার মুহুরীর মাপ হবে ১২ ইঞ্চি
কামিজের হাতার লম্বা হবে ১১ ইঞ্চি
কামিজের হাতার চওড়ার মাপ হবে ১৬ ইঞ্চি
কামিজের হিপের মাপ হবে ৪০ ইঞ্চি


এখন কিভাবে কামিজের জন্য নির্ধারিত কাপড়টি কাটতে হবে তার নিয়মগুলো হল:

প্রথমে আড়াই হাত বহরের (ধরে নেই) আড়াই গজ কাপড় নিতে হবে। কাপড়টিকে আড়াআড়িভাবে চার ভাঁজ করতে হবে।
এরপর ৪৮ ইঞ্চি ঝুল রাখার জন্য কাপড়টি লম্বায় ৪ঌ ইঞ্চি ও চওড়ায় ১১ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত ১ ইঞ্চি কাপড় লাগবে ঝুল মুড়ে সেলাই করার জন্য।
এবার নিমার মত একইভাবে কাপড়ের ভাঁজ লাইনের দিক থেকে গলার মাপ নিতে হবে। সামনের গলার জন্য লম্বার মাপ নিয়ে দাগ ৫ ইঞ্চি আর চওড়ায় মাপ নিয়ে ২১/২ ইঞ্চি দাগ দিতে হবে।
লম্বা ও চওড়ার মাপ যেখানে মিলেছে সেখান থেকে ভিতরের দিকে ১/২ ইঞ্চি মেপে ছোট একটি দাগ দিতে হবে।
এবার এই দাগের উপর দিয়ে বাঁকা করে দাগ দিতে হবে যা হবে সামনের গলার মাপ।
কামিজের পিছনের গলার জন্য লম্বার মাপ নিয়ে দাগ দিতে হবে ৩ ইঞ্চি। এরপর আগের মত একইভাবে নিচের দিকে বাঁকা করে দাগ দিতে হবে। মনে রাখবেন, সামনের গলা সবসময় কমপক্ষে ১ ইঞ্চি বেশি কাটতে হয়।
এবার গলার দিক থেকে কাপড়ের চওড়ার দিকে ৮ ইঞ্চি লম্বা মেপে দাগ দিতে হবে যা হবে কাঁধলাইন।
আগের মত কাঁধলাইনের শেষ মাথা থেকে নিচের দিকে ১/২ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। এবার এই দাগের সাথে গলার দাগ যোগ করে একটি লাইন টানতে হবে।
তারপর কাঁধলাইনের উপর দিক থেকে নিচের দিকে ৮১/২ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। এই মাপ নেওয়ার নিয়ম হচ্ছে- (কাঁধের অর্ধেক ৮ ইঞ্চি + সেলাইয়ের জন্য বেশি নিতে হবে ১/২ ইঞ্চি)= মোট ৮১/২ ইঞ্চি৷
এখন কাপড়ের ভাঁজলাইন থেকে চওড়ার দিকে ১১ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। এটা হল বুকলাইনের মাপ। এই কামিজের বুকের মাপ হচ্ছে ৩৬ ইঞ্চি যার ৪ ভাগের ১ ভাগ (ঌ ইঞ্চি + ঢিলা ১ ইঞ্চি + ১ ইঞ্চি সেলাই) = ১১ ইঞ্চি।
তারপর একটি দাগ টেনে বুকলাইন ও কাঁধলাইন যোগ করতে হবে। এই ২টি দাগ যেখানে মিলেছে তার সামনের দিকে ১ ইঞ্চি মেপে একটি ছোট দাগ দিতে হবে।
এবার বাঁকা করে কামিজের পিছনের বগলের ঘেরের মাপ হিসেবে দাগ দিতে হবে।
একইভাবে কামিজের সামনের বগলের জন্য প্রথম বাঁকা দাগের পিছনের দিকে ১/২ ইঞ্চি মেপে বাঁকা করে দাগ দিতে হবে।
এবার কোমরের সেপের জন্য মাপ নিতে হবে। এজন্য কাঁধ থেকে ঝুলের দিকে লম্বায় ১৪ ইঞ্চি ও চওড়ায় ৮ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে।
এবার হিপের সেপের জন্য কাঁধলাইন থেকে হিপ (কোমরের নিচের অংশ) পর্যন্ত ১২ ইঞ্চি লম্বা আর চওড়ায় ১০ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে।
তারপর কাঁধলাইন থেকে ঝুল পর্যন্ত লম্বায় ৪৮ ইঞ্চি আর কামিজের ঝুলের ঘেরের জন্য চওড়ায় ১১ ইঞ্চি মাপ নিয়ে দাগ দিতে হবে।
এবার বগলের শেষ মাথা থেকে বুকের দাগ পর্যন্ত (যেখানে ৮ ইঞ্চি চওড়া মেপে দাগ দেওয়া হয়েছে) বাঁকাভাবে দাগ টেনে দিতে হবে।
এরপর ঐ বাঁকা দাগের শেষ মাথা থেকে হিপ পর্যন্ত (যেখানে ১০ ইঞ্চি চওড়া মেপে দাগ দেওয়া হয়েছে) বাঁকাভাবে দাগ দিতে হবে।
এরপর হিপ থেকে ঝুল পর্যন্ত (যেখানে ১১ ইঞ্চি চওড়া মেপে দাগ দেওয়া হয়েছে) দাগ দিতে হবে। এবার নিমার মত কামিজের পিছনের গলা, কাঁধলাইন ও বগল কাটতে হবে।
এরপর বগল থেকে ঝুল পর্যন্ত দাগ অনুযায়ী কাটতে হবে।
এই কামিজের দুইটি অংশ আছে। সেজন্য উপর থেকে দাগ দেওয়া কাপড়টি নিয়ে নিমার মত একইভাবে সামনের অংশের গলা ও বগল কাটতে হবে।
কামিজ কাটার কাজ শেষ হবার পর কামিজের হাতার মাপ নিতে হবে। এজন্য অবশিষ্ট কাপড়টি ৪ ভাঁজ করতে হবে। এই কাপড় থেকে হাতার লম্বার মাপ  ১১ ইঞ্চি আর চওড়ার মাপ  ৮১/২ ইঞ্চি নিতে হবে।
এবার হাতার বগল কাটার জন্য মাপ নিতে হবে। এজন্য কাপড়ের লম্বার দিক থেকে ৩১/২ ইঞ্চি মাপ নিয়ে দাগ দিতে হবে।
এবার বগলের সেপের জন্য ছবির মত বাঁকা করে দাগ দিতে হবে।
গলা ও বগলের মত হাতার সামনের অংশের জন্য পৌনে এক ইঞ্চি বেশি কাটতে হয়। সেজন্য ঐ বাঁকা দাগের মাঝখান থেকে পিছনের দিকে পৌনে এক ইঞ্চি মেপে ছোট দাগ দিয়ে তার উপর দিয়ে বাঁকা করে আর।                              

12:40

জমজম টেইলারিং শিক্ষা "সাধারণভাবে পোশাক বলতে সেলাই করা কাপড়কেই বুঝানো হয়ে থাকে। বর্তমানে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সৌখিন নারী-পুরুষেরা বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় ...                          
11:20
রংধনু আসরের শিশু-কিশোর বন্ধুরা, আমাদের অনেক অনেক আদর আর ভালবাসা নাও। তোমরা নিশ্চয়ই নতুন জামা-কাপড় বানানোর জন্য টেইলার্সে যাও। টেইলার্সে যিনি জামা-কাপড় সেলাই করেন তাকে টেইলার বলা হয়।  এটি একটি সভ্য পেশা। সভ্যতার শুরু থেকেই এ পেশাটির গুরুত্ব ছিল,এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। টেইলার শব্দের বাংলা অর্থ হলো দর্জি। আগেকার দিনে এই দর্জিদেরকে খলিফাও বলা হতো। তবে ইসলামের পরিভাষায় খলিফা বলতে পৃথিবীর বুকে আল্লাহর প্রতিনিধিকে বোঝায়। বাংলাদেশে কিন্তু এখনো দর্জি অর্থে খলিফা শব্দটির প্রচলন আছে। তো খলিফা কিংবা দর্জি যাই বলা হোক না কেন সেলাই করাই ছিল তাদের কাজ। আজকাল তো বিভিন্ন ধরনের সেলাই মেশিনের সাহায্যে জামা কাপড় সেলাইয়ের কাজ হয়। কিন্তু আগেকার দিনে এসব মেশিন ছিল না। সে সময়কার দর্জিরা সুঁই সূতা দিয়ে হাতের সাহায্যে এফোঁড় ওফোঁড় করেই জামা কাপড় সেলাই করতো। তাই দ্রুত সেলাই করতে পারাটা সে সময়কার দর্জিদের একটা বড়
গুণ হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

Tuesday 13 February 2018

10:33
যেকোনো পোশাক দোকানদার নিজে বা দোকানে নিযুক্ত কয়েকজন একসাথে তৈরি করে থাকে। আজকাল শহরের মত গ্রামেও বিশেষত জেলা শহরগুলোতে প্রচুর দর্জির দোকান দেখা যায়। এসব দোকানে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও কাজ করে থাকে। বর্তমানে একে অনেকেই ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে বাড়তি আয় করছে। নানা ধরনের পোশাক তৈরি করে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। আবার পোশাক তৈরির কারখানাতে কাজ করে বা শুধু একটি সেলাই মেশিন কিনে অর্ডার হিসেবে কাজ করেও আয় করা যায়। সাধারণভাবে পোশাক বলতে সেইসব কাপড়কে বুঝায় যা আমরা পরিধান করে থাকি। আমরা মূলত যেসব পোশাক পরি তার বেশিরভাগই হাত দিয়ে বা সেলাই মেশিন দিয়ে সেলাই করা হয়। যেকোনো পোশাকই সুন্দর দেখায় যদি তাতে সুন্দর সুন্দর নকশা থাকে। মহিলা ও পুরুষের পোশাকের ধরণ বুঝে দেহের মাপ নিয়ে পছন্দমত ডিজাইন অনুযায়ী পোশাক তৈরি করা হয়। কিভাবে নানা ধরনের পোশাক যেমন- সালোয়ার কামিজ, শার্ট ইত্যাদি তৈরি করতে হয় সেই বিষয়ে জানা প্রয়োজন।



পোশাক কিভাবে তৈরি করতে হবে তা নিচে আলোচনা করা হলঃ



পোশাকের নাম
বাচ্চাদের পরার জামা
মেয়েদের পরার কামিজ
মেয়েদের পরার সালোয়ার

১. বাচ্চাদের পরার জামা
জণ্মের পর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা যে পোশাক ব্যবহার করে তাকে জামা বলে। জামা নানা ধরনের নকশা করে বানানো যায়। যেমন-গলায় বা ঝুলে কুচি দিয়ে অথবা কুচি ছাড়া। জামা সাধারণত পাতলা কাপড় দিয়ে বানানো হয় যা দুই হাত থেকে আড়াই হাত বহরের হয়। এখন আমরা জানব ২ বছর বয়সের একটি শিশু পরতে পারবে এমন একটি কুচি ছাড়া জামা কিভাবে তৈরি করতে হবে:
প্রথমে বলা যাক দুই বছর বয়সী শিশুর জামার আনুমানিক সাইজ কেমন হবে। এক্ষেত্রে-
জামার ঝুলের মাপ হবে ১৬ ইঞ্চি
জামার বুকের মাপ হবে ২০ ইঞ্চি
জামার কাঁধের মাপ হবে ঌ ইঞ্চি
জামার গলার লম্বার মাপ হবে ২১/২ ইঞ্চি
জামার গলার চওড়ার মাপ হবে ২ ইঞ্চি


কিভাবে জামার জন্য নির্ধারিত কাপড়টি কাটতে হবে নিয়মগুলো হলঃ

জামা বানানোর জন্য প্রথমে ২ হাত বহরের (আনুমানিক/মনে করি) আধা গজ কাপড় নিতে হবে।
এই কাপড়টি আড়াআড়িভাবে ৪ ভাঁজ করতে হবে।
১৬ ইঞ্চি ঝুল রাখার জন্য কাপড়টি লম্বায় ১৭ ইঞ্চি ও চওড়ায় ৮ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ১ ইঞ্চি কাপড় লাগবে ঝুল মুড়ে সেলাই করার জন্য।
এবার কাপড়ের যেদিকে ভাঁজের লাইন আছে সেদিক থেকে গলা কাঁটার জন্য আড়াই ইঞ্চি ও আওড়ার জন্য দুই ইঞ্চি মাপ নিতে হবে। এটা হল গলার আদর্শ মাপ। প্রয়োজন বা পছন্দমত গলা আরও বড় করা যাবে।
এবার এই মাপমত গলার লম্বা ও চওড়ার দিকে দাগ টেনে দিতে হবে।
এরপর গলার লম্বা ও চওড়ার দাগ যেখানে মিলেছে ঠিক সেখান থেকে ভিতরের দিকে আধা ইঞ্চি মেপে একটি দাগ দিতে হবে। তারপর এই দাগের উপর দিয়ে নিমার পিছনের গলার মাপ দিতে হবে।
জামার পিছনের গলার থেকে সামনের গলা কমপক্ষে আধা ইঞ্চি বেশি কাটতে হয়। এজন্য পিছনের গলার মত সামনের গলা একইভাবে আরও আধা ইঞ্চি বেশি মেপে বাঁকাভাবে দাগ দিতে হবে।
এরপর (যেদিক থেকে গলার মাপ নেয়া হয়েছে সেদিক থেকে) গলার দিক থেকে কাপড়ের চওড়ার দিকে সাড়ে চার ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে। এটা হল কাঁধলাইনের মাপ।
কাঁধলাইনের শেষ মাথা থেকে নিচের দিকে আধা ইঞ্চি মেপে দাগ দিয়ে এই দাগের সাথে গলার দাগ যোগ করে একটি লাইন টানতে হবে।
আবার কাঁধলাইনের উপর দিক থেকে নিচের দিকে ৫ ইঞ্চি (নিমার কাঁধ ঌ ইঞ্চি, ঌ ইঞ্চির অর্ধেক সাড়ে চার ইঞ্চি আর সেলাইয়ের জন্য আধা ইঞ্চি বেশি নিতে হবে) মেপে দাগ দিতে হবে।
কাপড়ের ভাঁজলাইন থেকে চওড়ার দিকে বুকলাইনের জন্য সাড়ে ছয় ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে।  কারণ এই নিমার বুকের চওড়ার মাপ হল ২০ ইঞ্চি, ঢিলার মাপ  চার ইঞ্চি, আর দুই পাশের সেলাইয়ের জন্য কাপড় বেশি লাগবে ২ ইঞ্চি। তাহলে মোট ২৬ ইঞ্চি কাপড় কাটতে হবে। এখানে কাপড়টি চার ভাঁজ করা হয়েছে। এই নিমার বুক ২০ ইঞ্চি যার ৪ ভাগের ১ ভাগ হল ( ৫ ইঞ্চি + ঢিলা ১ ইঞ্চি + সেলাই ১/২ ইঞ্চি) = ৬১/২ ইঞ্চি।
তারপর এই দাগ দুটি যেখানে মিলেছে তার উপরের দিকে ১ ইঞ্চি মেপে একটি দাগ দিতে হবে। এবার এই দাগের উপর দিয়ে নিমার পিছনের বগলের ঘের হিসেবে দাগ দিতে হবে। একইভাবে নিমার সামনের বগলের জন্য প্রথম বাঁকা দাগের পিছনের দিকে আধা ইঞ্চি বেশি নিয়ে বাঁকা করে দাগ দিতে হবে।
আবার বগলের ঘেরের শেষ মাথা থেকে ঝুল পর্যন্ত দাগ দিতে হবে।
এরপর নিমার ঝুলের ২ কোণার সেপের জন্য ঝুলের দিক থেকে উপরের দিকে ১ ইঞ্চি মেপে দাগ দিতে হবে।
এরপর ঐ দাগ থেকে নিমার ঝুলের মাঝখান পর্যন্ত বাঁকা করে দাগ দিতে হবে।
এরপর পিছনের গলার অংশটুকু বাঁকা করে কাটতে হবে।
তারপর কাঁধে লাইন কাটি। সেইসাথে পিছনের বগলের ঘেরের অংশটুকুও বাঁকা করে কাটতে হবে।
এবার জামার পাশের ঘেরের অংশটুকু কাটতে হবে। তারপর ঝুলের নিচের দাগ দেওয়া অংশটুকু কাটতে হবে।
এবার উপর থেকে দাগ দেওয়া কাপড়ের টুকরাটি নিয়ে নিতে হবে। একইভাবে সামনের অংশের গলা ও বগলও কেটে ফেলতে হবে।